ওবায়দুল কাদের বলেন, এদেশে উগ্রবাদের উত্থান ঘটে বিএনপির হাত ধরেই। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জানতে চান, বাংলা ভাই, শায়খ আবদুর রহমান কাদের সৃষ্টি? সারাদেশে একযোগে বোমা হামলা কাদের আমলে করা হয়েছিলো? ময়মনসিংহের অলকা, ছায়াবানী, পূরবী ও অজান্তা সিনেমা হলে একযোগে বোমা হামলা কাদের আমলে হয়েছিলো?
বিএনপি কথায় কথায় গণতন্ত্রের কথা বলে, তাদের আমলে নাকি দেশে গণতন্ত্র ছিল, এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রেখে বলেন তাহলে বিএনপির আমলে উগ্রবাদ কীভাবে সৃষ্টি হলো?
বিএনপিই ক্ষমতায় টিকে থাকতে আর দেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মুছে দিতে ধর্মীয় উগ্রবাদের সৃষ্টি করেছিলো অভিযোগ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, উগ্রবাদীদের লালন-পালন করে সে বিষবৃক্ষকে বড় করেছে বিএনপি।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে, মির্জা ফখরুলের এমন মন্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির মুখে মানবাধিকারের কথা ‘ভূতের মুখে রাম রাম’ ধ্বনির মতো।
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রসঙ্গে কাদের বলেন, দেশের স্থানীয় সরকার নির্বাচন উপলক্ষে দলীয় প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, সে অনুযায়ী জেনে শুনে, যাচাই-বাছাই করে মনোনয়ন দিতে হবে৷ যারা আগে বিদ্রোহ করেছে, দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করছে তাদের নাম কেন্দ্রে না পাঠানোর অনুরোধ করছি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পেছন থেকে এমপি, মন্ত্রী ও জেলা এবং কেন্দ্রীয় কোনো নেতা যদি বিদ্রোহ প্রার্থীদের মদদ দিয়ে থাকেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও দল কঠিন সিদ্ধান্ত নেবে।
করোনা সংক্রমণ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে বদলে দিয়েছে জীবন প্রবাহ, জীবনের চলমান ধারা।
করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ, কোথাও কোথাও তৃতীয় ঢেউ আঘাত আনছে। বাংলাদেশে সম্প্রতি সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হারের ট্টেড আবার উর্ধ্বমূখী হতে চলেছে, তাই সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি বাধ্যতামূলক মাস্ক পরার আহ্বান জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক সামছুন্নাহার চাঁপাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নেতারা।