রংপুরে উন্মোচিত হলো বেগম রোকেয়ার ভাস্কর্য ‘আলোকবর্তিকা’ 

রংপুরে উন্মোচিত হলো বেগম রোকেয়ার ভাস্কর্য ‘আলোকবর্তিকা’ 

রংপুরে উন্মোচিত হলো নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার ভাস্কর্য ‘আলোকবর্তিকা’। এতে দীর্ঘদিনের দাবি পূরণের সঙ্গে সঙ্গে সমৃদ্ধ হলো ভাস্কর্য-ম্যুরালের নগরখ্যাত রংপুর।

রংপুর সিটি কর্পোরেশনের (রসিক) অর্থায়নে রোকেয়ার ভাস্কর্য নির্মিত হলেও ভাস্কর্য উন্মোচন অনুষ্ঠানে তাদের কোনো কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিকে দেখা যায়নি। এ নিয়ে অনুষ্ঠানে ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করেন অতিথিরা। এ ব্যাপারে ভাস্কর অনীক রেজা বলেন, ভাস্কর্য  নির্মাণ কাজ শেষে এটি উদ্বোধনের জন্য সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান, প্যানেল মেয়র মাহমুদুর রহমান টিটুসহ সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছি। কিন্তু তারা আমাকে এটি উন্মোচন করতে অনুমতি দিয়েছেন। অনুষ্ঠানে তাদের কারো না আসার ব্যাপারে আমি ব্যাখ্যা দিতে পারব না।

রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ১৫ লাখ টাকার অর্থায়নে ভাস্কর্যটি নির্মাণ করা হয়েছে। এর উচ্চতা মাটি থেকে ২০ ফুট। এর মধ্যে শুধু পাথর-কংক্রিট থেকে বেরিয়ে আসা রোকেয়ার অবয়ব লম্বায় প্রায় ১২ ফুট। সমাজ পরিবর্তনে শিক্ষার শক্তি নিয়ে বেরিয়ে আসা রোকেয়ার এ ভাস্কর্যটিতে জন্ম-মৃত্যু সালসহ তার লেখা কিছু বই ও বাণী রয়েছে।রংপুর সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, বিগত সিটি মেয়র সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টুর আমলে বেগম রোকেয়ার ভাস্কর্য নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল। এরপর ধীরগতিতে চলা নির্মাণ কাজ হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। মাটি থেকে শুধু উঁচু বেদী তৈরির পরে কয়েকটি ইটের পিলার ছাড়া তখন আর কিছুই ছিল না। অযত্ন অবহেলায় পড়ে থাকা বেদীটি ভরে ছিল ধুলোবালি আর বিভিন্ন ফেস্টুন পোস্টারে।

মুখ থুবড়ে পড়ে থাকা সেই বেদীটি দেখে হতাশ হয়েছিল স্থানীয় লোকজন ও শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন মহল থেকে তখন ওই ভাস্কর্য নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ করার দাবি জোরালো হয়ে ওঠে। অবশেষে বছর তিনেক বন্ধ থাকার পর আবার শুরু হয় নির্মাণ কাজ। সেই নির্মাণ কাজের সমাপ্তি শেষে বুধবার সকাল ১১টায় বেগম রোকেয়া দিবসেই উন্মুক্ত করা হয় ভাস্কর্য ‘আলোকবর্তিকা’।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

রামেক ছাত্রলীগের ১৫ নেতার সাজা

আবাসিক সুবিধাবঞ্চিত ববির ৭৭ শতাংশ শিক্ষার্থী