পদ্মা সেতুর ৬ কিলোমিটার দৃশ্যমান বসতে বাকি আর মাত্র একটি স্প্যান

পদ্মা সেতুর ৬ কিলোমিটার দৃশ্যমান বসতে বাকি আর মাত্র একটি স্প্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক : মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর ১১ ও ১২ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয়েছে ৪০তম স্প্যান ‘২-ই’। গতকাল শুক্রবার ১০টা ৫৮ মিনিটে স্প্যানটি বসানো হয়। আর এর মাধ্যমেই দৃশ্যমান হলো পদ্মা সেতুর ৬ কিলোমিটার। পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আবদুল কাদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এই স্প্যানটি বসানোর মাধ্যমে দৃশ্যমান হলো পদ্মা সেতুর ছয় কিলোমিটার। আর বাকি থাকলো ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যরে ‘২-এফ’ নামের স্প্যানটি। যা ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হবে। তিনি আরও বলেন, ৩৯তম স্প্যান বসানোর সাত দিনের মাথায় এ স্প্যানটি বসানো হলো। বিজয়ের মাসে সেতুতে স্প্যান বসানোর কাজটি সম্পন্ন হওয়ার মাধ্যমে নতুন দ্বার উন্মোচনের রাস্তা সুগম হবে। এমতাবস্থায় পদ্মাপাড়ের স্থানীয় মানুষদের মাঝে বইছে আনন্দের জোয়ার। পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ৪০তম স্প্যানটি নিয়ে যাত্রা করে তিন হাজার ৬০০ টন ধারণক্ষমতার ভাসমান ক্রেন ‘তিয়ান ই’। প্রায় আধাঘণ্টা পর নির্ধারিত পিলারের কাছে পৌঁছায় ক্রেনটি। এরপর শুরু হয় ভাসমান ক্রেনটির নোঙর করার কাজ। দুপুরের দিকে শেষ হয় ছয়টি ক্যাবলের (তার) মাধ্যমে নোঙর করার কাজ। এদিকে মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে বসানো স্প্যানগুলোতে রেলওয়ে স্ল্যাব ও রোডওয়ে স্ল্যাব বসানোর কাজও দ্রুতগতিতে চলমান। সেতুতে প্রয়োজন হবে দুই হাজার ৯১৭টি রোডস্ল্যাব। এরইমধ্যে এক হাজার ২৩৯টিরও বেশি স্ল্যাব বসানো হয়েছে। রেলওয়ের জন্য প্রয়োজন হবে দুই হাজার ৯৫৯টি রেলস্ল্যাব। যার মধ্যে এ পর্যন্ত এক হাজার ৮৬০টিরও বেশি বসানো হয়েছে। ২০১৪ সালে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল। আর ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে বসানো হয়েছিল প্রথম স্প্যান। ধাপে ধাপে স্প্যান বসিয়ে এ পর্যন্ত ৪০টি স্প্যান বসানো হয়েছে। সেতুর মোট পিলার ৪২টি এবং এতে স্প্যান বসবে ৪১টি। ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে পদ্মা সেতুর কাঠামো। সেতুর উপরের অংশে যানবাহন ও নিচ দিয়ে চলবে ট্রেন। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

দুর্ঘটনার আশঙ্কায় জনমনে উদ্বগে বীরগঞ্জের সড়কগুলো দাপিয়ে বড়োচ্ছে কিশোর চালকরা

সন্দ্বীপে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা উদ্বোধন