নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশকে অস্থিতিশীল করার একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বাসে আগুন দেয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। পাশাপাশি বাসে আগুন দেয়ার ঘটনার সঙ্গে বিএনপি ও তার দোসররা যুক্ত দাবি করে তিনি বলেছেন, দেশের মানুষ ভালোভাবেই জানে অতীতে কারা এভাবে বাস পুড়িয়েছে, কীভাবে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেছে এবং শত শত মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচন চলাকালে গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর অন্তত ৯ স্থানে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত দেড় শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে মোট ৮টি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তথ্যমন্ত্রী বলেন, পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, যেভাবে যাত্রীবেশে বাসে উঠে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছিল, গতকাল (গত বৃহস্পতিবার) যে ৯-১০টি বাস পোড়ানো হয়েছে, সেগুলোর সঙ্গে ২০১৩-১৪ সালের ঘটনার মিল আছে। গতকাল (গত বৃহস্পতিবার) প্রথম বাসটি পোড়ানো হয় নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে, একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের বাস। এই ঘটনার সঙ্গে বিএনপি এবং তার দোসররা যে যুক্ত, এটি সহজেই অনুমেয়। দেশকে অস্থিতিশীল করার একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বাসে আগুন দেয়া হয়েছে মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই টিআইবি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে একটি প্রতিবেদন দিয়েছে। বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বিভিন্ন মহল থেকে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, তাদের (বিএনপি) অডিও বার্তার মাধ্যমে এটাই প্রমাণিত হয়েছে, ঘটনাগুলোর সঙ্গে তারা যুক্ত। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অবশ্য তার বক্তব্যে একটি সত্য কথা বলেছেন, ‘এই ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত’। তারা পূর্বপরিকল্পনা করেই এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছেন। এতে কোনো লাভ হবে না। সরকার অতীতে যখন ২০১৩-১৪ সালে এই ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড কঠোর হস্তে দমন করেছে, আমরা ইনশাআল্লাহ এবারও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড কঠোর হস্তে দমন করবো।