নিজস্ব প্রতিবেদক : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য গত বৃহস্পতিবার বাস পোড়ানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এর জন্য তিনি সরকারকে দায়ী করেছেন। গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বাসে অগ্নিসংযোগের প্রসঙ্গ তুলে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, গতকাল (গত বৃহস্পতিবার) বাস পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। সেটির গোপন রহস্য হচ্ছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর জো বাইডেন সবাইকে কল দিয়ে শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় করেন। কিন্তু বর্তমান সরকার শেখ হাসিনাকে একবারও কল দেননি। তাই তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য বাস পোড়ানো হয়েছে। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বন্ধুদের চেনেন না, এটাই হচ্ছে জাতির দুর্ভাগ্য। এ মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা এবং ট্রাস্টি । ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তিনি এত কিছু বোঝেন, কিন্তু ওনার বন্ধুদের চেনেন না, এটাই হচ্ছে জাতির দুর্ভাগ্য। একটা সরকারের সবচেয়ে বড় বন্ধু হচ্ছে সাংবাদিক, যারা বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী এখানেই তার জীবনের বড় ভুলটা করছেন। সাংবাদিকদের আপনি যত বেশি কথা বলতে দেবেন, আপনার গোয়েন্দাবাহিনীর চেয়েও আপনি বেশি তথ্য পাবেন। তাতে আপনি লাভবান হবেন। বর্তমানে বাংলাদেশের গণতন্ত্র কবরে শায়িত। গণতন্ত্রকে কবর থেকে ওঠাতে হলে একটামাত্র পথ আছে, আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে রাস্তায় নামতে হবে। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সম্মিলিতভাবে প্রতিবাদ করতে না পারলে সবচেয়ে বড় বিপদ হবে বিএনপির। বিএনপি সুচতুরভাবে খালেদা জিয়ার প্রতি এত বড় অন্যায় সয়ে যাচ্ছে। বিএনপিও আন্দোলন করে না, আমরাও আন্দোলন করি না। যেখানে ইয়াবা ব্যবসায়ীরাও সবাই জামিন পায়, সেখানে খালেদা জিয়ার জামিন হয় না, সম্পাদক আবুল আসাদের জামিন হয় না, এরচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা আর কী হতে পারে। এটা অত্যন্ত নিন্দনীয়। আওয়ামী লীগের নেতাদের প্রতি উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের বলতে চাই, আপনারা শেখ হাসিনার কাঁধে ভর দিয়ে আর কতদিন চলবেন। আপনাদের আজ সোচ্চার হতে হবে। তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমু, মতিয়া চৌধুরী আপনারা কথা বলেন। আপনারা তো সবকিছুই দেখছেন, চশমা ব্যবহার করলেও আপনারাতো অন্ধ না। তা না হলে দেশের সামনে সমূহ বিপদ। ‘রুহুল আমিন গাজী মুক্তি পরিষদ’ আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক নেতারা। বক্তারা বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন। সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীসহ অবিলম্বে গ্রেপ্তার সব সাংবাদিকের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন তারা।