ঢাকা: জাতিকে ধ্বংস করতেই করোনার অজুহাতে অটো পাসের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকার শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের মাধ্যমে জাতিকে ধ্বংস করছে বরে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লা চৌধুরী।
তিনি বলন, এখন পরিবেশ অনেক ভালো, স্কুল-কলেজ চালু হলে কোনো ক্ষতি হবে না। স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় কিশোর গ্যাং মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে।
শনিবার (২৪ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের এডুকেশন রিফর্ম ইনিশিয়েটিভ (ইআরআই) আয়োজিত ‘করোনাকালীন পরীক্ষায় অটো পাস: শিক্ষার বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন ডা. জাফরুল্লাহ।
তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলে কেউ করোনা আক্রান্ত হবে না এটা নিশ্চিত করে বলতে পারি। পরীক্ষা না হওয়ার কোনো কারণ নেই। তাহলে কার ইশারায় এমন সিদ্বধান্ত নেওয়া হচ্ছে? বিশ্ব ব্যাংকের এক পরিসংখ্যন বলছে, ২০১৮ সালে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ১২৮ মিলিয়ন ডলার নিয়েছে, তাদের ৫ লাখ নাগরিক আমাদের এখানে কর্মরত। শিক্ষায় অটো পাস করলে এমন অবস্থা আরও তৈরি হবে, প্রকৃত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে জাতি।
ডা. জাফরুল্লাহ আরো বলেন, আমাদের সব কিছু সচল থাকলেও শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। এই সুযোগে দেশের মধ্যে কিশোর গ্যাং মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। তাদের কাজ নেই, স্কুল বন্ধ কী করবে তারা? তাই অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।
আলোচনা সভায় নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অটো পাস থাকায় তারা অটো পাস থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না। যারা গায়ের জোরে অটো পাস নিয়ে ক্ষমতায় আসে তাদের এটা ছাড়া আর কোনো উপায়ও নেই।
তিনি বলেন, অটো পাস চালু করার আরও একটি কারণ- ভয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললে নুরের নেতৃত্বে রাজপথে আসবে হাজার হাজার শিক্ষার্থী, এই ভয় কাজ করছে সরকারের মধ্যে। তাই তারা সব খুলে দিলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলছে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, অটো পাসের কারণে শিক্ষায় কী হবে আল্লাহ ভালো জানেন। একজন ছাত্র কীভাবে ঢাবিতে আসবেন জানা নেই, শিক্ষায় জটিলতা আরো বাড়বে। তবে সরকারের ভাবার সময় আছে, অনুরোধ থাকবে সিদ্ধান্তটা পুনরায় বিবেচনা করার। অটো পাসের মাধ্যমে একটি জাতির একটা সেশনকে ধ্বংস করে দেওয়া যায় না।
বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলনের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন বিএনপি নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, শিক্ষক নেতা সেলিম ভূইয়া ও রোকেয়া চৌধুরী।