নোয়াখালী: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুরে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় মামলার আসামি কালামকে ৩ মামলায় ১০ দিনের ও শাহেদকে এক মামলায় দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে মামলার শুনানি শেষে নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বেগমগঞ্জ ৩ নম্বর আমলী আদালতের বিচারক মাসফিকুল হকের আদালতে এ রিমান্ড মঞ্জুর হয়।
সরকারী কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট গুলজার আহমেদ জুয়েল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এনিয়ে এ মামলায় মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর আগে, নির্যাতনের শিকার ওই নারী বাদী হয়ে ৪ সেপ্টেম্বর দুইটি মামলা করেন। পরে ৬ তারিখ রাতে দোলোয়ার ও কালামকে আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন বেগমগঞ্জ মডেল থানায়।
এদিকে, মামলার অপর আসামি ইউপি সদস্য মেয়াজ্জেম হোসেন সোহাগ ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করায় বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে আদালতে তোলা হয়।
মামলার এজাহারে নির্যাতনের শিকার ওই নারী উল্লেখ করেন, গত ২ সেপ্টেম্বর দীর্ঘদিন পর বাপের বাড়িতে তার স্বামী তার সঙ্গে দেখা করতে যান। রাত ৯টার দিকে শয়ন কক্ষে স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে ছিলেন। এ সময় বাদল, রহিম, আবুল কালাম, ইস্রাফিল হোসেন, সাজু, সামছুদ্দিন সুমন, আবদুর রব, আরিফ ও রহমত উল্যাসহ অজ্ঞাত আসামিরা দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে। এরপর তার স্বামীকে মারধর করে পাশের কক্ষে নিয়ে আটকে রাখে। এক পর্যায়ে তারা ওই নারীকে বিবস্ত্র করে মারধর ও ধর্ষণের চেষ্টা করেন।
এতে রাজি না হলে আসামিরা তার ওপর নির্মম নির্যাতন চালায় এবং ভিডিও করে রাখে। এ সময় তার আত্মচিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে আসামিরা কাউকে কিছু জানালে তাকে হত্যার হুমকি দেয়। আসামিরা চলে যাওয়ার পর কাউকে কিছু না জানিয়ে নির্যাতিতা নারী জেলা শহর মাইজদীতে বোনের বাড়িতে আশ্রয় নেন।
সেখানে থাকা অবস্থায় আসামিদের প্রস্তাবে রাজি না হলে ওই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে রোববার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।