ঢাকা: স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিবহন পুলের গাড়িচালক আব্দুল মালেক ওরফে বাদল ওরফে ড্রাইভার মালেককে (৬৩) দুই মামলায় ১৪ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (৫ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ২১ সেপ্টেম্বর গাড়িচালক মালেকের ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন অপর একটি আদালত। সেই রিমান্ড শেষে সোমবার তাকে আদালতে হাজির করে তদন্ত কর্মকর্তা তুরাগ থানার এসআই রুবেল শেখ তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারগারে রাখার আবেদন করেন। অপরদিকে আসামিপক্ষে আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠান।
গত ২১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর তুরাগ থানায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) বাদী হয়ে দু’টি মামলা দায়ের করে।
এর আগে গোপন সূত্রে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২০ সেপ্টেম্বর দিনগত রাত সোয়া ৩টার দিকে রাজধানীর তুরাগ থানাধীন কামারপাড়া বামনের টেক ৪২ নম্বর হাজি কমপ্লেক্স ভবন থেকে আব্দুল মালেককে গ্রেফতার করে র্যাব-১।
এসময় তার কাছ থেকে বিদেশি পিস্তল, ম্যাগজিন, পাঁচ রাউন্ড গুলি, দেড় লাখ টাকার জালনোট, ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
অষ্টম শ্রেণি পাস আব্দুল মালেক অধিদফতরের চাকরি পাশাপাশি নানা অবৈধ কর্মকাণ্ড চালাতেন। অবৈধ অস্ত্র ও জালনোটের কারবার ছাড়াও চাঁদাবাজি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন তিনি।
তুরাগ থানা এলাকার দক্ষিণ কামাড়পাড়ায় দু’টি সাততলা বিলাসবহুল ভবন, ধানমন্ডির হাতিরপুল এলাকায় সাড়ে চার কাঠা জমিতে নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবন রয়েছে তার। এছাড়া দক্ষিণ কামাড়পাড়ায় ১৫ কাঠা জমিতে একটি ডেইরি ফার্ম গড়ে তুলেছেন তিনি। বিভিন্ন ব্যাংকে নামে-বেনাম বিপুল পরিমাণ অর্থ গচ্ছিত রয়েছে তার।